back to top
শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে বুটেক্স কর্মকর্তা সমিতির কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি 

 

সরকার কর্তৃক জারিকৃত বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে ২ জুলাই (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) কর্মকর্তাবৃন্দ  সকাল ৯টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে।

 

 উক্ত কর্মসূচিতে অবস্থানরত কর্মকর্তাগণ বলেন, এই প্রজ্ঞাপনে যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি বহাল থাকে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষক, কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করবেনা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের মেধাশূণ্যতা দেখা দিবে এবং এতে করে জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

 

তারা আরও জানান,আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে।

 

কর্মসূচিতে উত্থাপিত দাবীসমূহের মধ্যে রয়েছে প্রত্যয় স্কীম হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তভুক্তি বাতিল,  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত অভিন্ন নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন নীতিমালা বাতিল অথবা ইতোপূর্বে কর্মকর্তা ফেডারেশন কর্তৃক দাবীকৃত ১২ দফা অর্ন্তভূক্তকরণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রদান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের অবসরের বয়সমীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ।

 

অবস্থান কর্মসূচিতে বুটেক্স কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ শরীফুর রহমান বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বৈষম্যবিহীন একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই এবং আগামীতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন তারা যেন কোনোপ্রকার বৈষম্যের শিকার না হন। পেনশন স্কীম জারি থাকলে আগামীতে মেধাবীরা এ সেক্টরে আসতে অনাগ্রহী থাকবে যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রতিবন্ধকতার শামিল।

 

বুটেক্স কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: বিল্লাল হোসেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে আমাদের প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা ধারণা করছি প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে মেধাবী শূন্য হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রাইচুটিসহ বিভিন্ন ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো বলে মনে করি। সর্বোপরি আমাদের পেনশন ব্যবস্থা কি হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার নয়। এহেন অবস্থায় আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প দেখছিনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী ৩ ও ৪ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করব ইনশাআল্লাহ। একই সাথে বর্ণিত ২ দিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

আরও পড়ুন:

থেকে আরও পড়ুন