চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী। সংঘর্ষের ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে, সংগ্রহ করা হচ্ছে ঘটনাস্থলের সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ঘটনার দুদিন পর আজ সকাল থেকে খুলে দেয়া হয়েছে সিলগালা করা হাজারি গলির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আশপাশের পুরো এলাকা এখনও ঘিরে রেখেছে যৌথবাহিনী।
প্রায় ২ দিন পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রামে হাজারি গলির পরিস্থিতি। সকালে যৌথবাহিনীর সহায়তা একে একে খুলতে শুরু করে সিলগালা করা দোকানপাট।
যদিও এখনও পুরোপুরি আতঙ্ক কাটেনি স্থানীয়দের। ব্যবসায়ীরা জানান, হাজারি গলি চট্টগ্রামে ওষুধ ও স্বর্ণের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার, যেখানে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়। দোকান খুলতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে তাদের মাঝে। চলছে বেচাকেনাও। নিরপরাধ ব্যবসায়িদের হয়রানি নয়, ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি চান তারা।
এদিকে, সে দিনের ঘটনায় এসিড নিক্ষেপে আহতসহ ২ পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন আছে দামপাড়া পুলিশ হাসপাতালে।
পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরভ দে বলেন, ‘প্রথমে আসা আহতকে ফিজিও থেরাপি ও এক্সারসাইজের মাধ্যমে ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে আপাতত সে আশঙ্কা মুক্ত আর দ্বিতীয় জনের কেমিক্যাল বার্ন হয়েছে তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়, আপাতত তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ও মেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনায় কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পাশাপাশি পর্যালোচনা করা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
৩৪ ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ার অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের প্রতি যে সংশ্লিষ্টতা কথা বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে এত দ্রুত বলা বেশ দুষ্কর। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি তবে আমরা এখনো কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনে সংপৃক্ততা পাইনি। আমরা মূলত শনাক্তকরণ পর্যায়ে রয়েছি। শনাক্ত হবার পর কে বা কারা সম্পৃক্ততা আছে তখন সেটা যাচাই করা সম্ভব হবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাজারি গলির আশেপাশের পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে যৌথবাহিনী । এ ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে পুলিশ।