back to top
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ডিবি পুলিশের বহিষ্কৃত ৭ সদস্যের কারাদণ্ড

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার টেকনাফে ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের বহিষ্কৃত সাত সদস্যকে দুই ধারায় সাত ও পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতে আসামিদের সবাই উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজম।আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজকে রায় দিলো আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার পৌর শহর সদর থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েকব্যক্তি টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেনদরবারে ১৭ লাখে রাজি হয়ে টাকা পৌঁছে দেওয়ার পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেসময় বিষয়টি গফুরের স্বজনরা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য স্থাপন করা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।

অতঃপর মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের মাইক্রোবাসটি মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সেনাচৌকির সদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।
পরে ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর ও বাদীর ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করায় আমাদের পরিবারকে ব্যাপকভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আসামিরা তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করেছে।যে কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে বাদী আবদুল গফুর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছেন।

থেকে আরও পড়ুন