back to top
শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

একটা উইকেট পতন

 

লেখক ঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম। 

তাং ঃ ১৬.০৫.২০২৪

 

চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রধান তিন জন প্রার্থী ছিলেন যারা জনগনের কাছে বেশ প্রিয়। নির্বাচনের আর মাত্র দিন ছয় বাকী, ইতিমধ্যে গতকাল রাতে বজ্রপাতের মত সংবাদ কর্ণগোচর হলো “প্রার্থী অহিদুজ্জামান তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন”! সব প্রার্থীর কিছু খোলা মাঠে এবং কিছু সুপ্ত হাই প্রফাইল সমর্থক থাকে যারা অনলাইনে প্রার্থীর পক্ষে ভোট সংগ্রহ করেন! তারা মানইজ্জত সন্মান জীবনের হুমকি থেকে বাঁচতে সরাসরি নির্বাচন ফিল্ডে নিজেকে ওপেন করেন না! প্রার্থীতা প্রত্যাহার যখন হয়ে গেছে তখন ও অজানায় কেউনা কেউ অহিদুজ্জামানের পক্ষে ভোট সংগ্রহে ব্যস্হ! 

 

প্রিয় পাঠক, জনগন এমন একজন স্হানীয় সরকার প্রতিনিধি খোঁজেন (উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বার) যিনি দলমত সবার জন্য নিরপেক্ষ, সৎ, ধর্ম ভীতি মনে পোষন করেন, নিরপেক্ষ বিচারক, পয়সায় বিক্রি হন না, আত্মীয়-অনাত্মীয় পক্ষপাতিত্ব হীন, দেশ সরকার জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, সব শেষে জনগনের নালিশ অভিযোগের একটা নিরপেক্ষ গরীব নির্যাতিতের বন্ধু হবেন যিনি! যার কাছে নির্যাতিত তার অভিযোগ নির্ভয়ে আস্হার সাথে বলতে পারেন! 

আমাদের সাংসদ “শেখ হেলাল ভাই ” সারা বাংলাদেশের অন্য তম ব্যক্তিত্ব, যিনি উন্নয়ন বাজেট পাশ করাতে পারেন অনেক দ্রুত কিন্তু রোডে নেমে কত নাম্বার ইট ব্যবহার হচ্ছে নিরাপত্তা জনিত কারনে দেখতে পারেন না, সেটা তার কাজ ও না, এই কাজটা স্হানীয় সরকার প্রতিনিধির! এজন্য সৎ দেশপ্রেমিক প্রতিনিধি প্রয়োজন। 

 

আমার বাড়ীর সামনের রোড ১৯৯৭ সালে সাংসদ শেখ হেলাল ভাই আমার বাড়ীতে এসেছিলেন এবং রোড টা করার নির্দেশ দিয়ে যান! ১৯৯৭ সালে নির্মিত রোড আজ দীর্ঘ ২৬ বছর কোন সংস্কার করা হয় না! অথচ আমি মাননীয় সাংসদ হেলাল ভাই, জেলা চেয়ারম্যান টুকু ভাই, থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক দাদা, বিগত মহিলা সাংসদ হ্যাপি বড়াল, বর্তমান মহিলা সাংসদ লুচি ভাবী, বার বার আগত UNO, সবার পরিচিত মুখ! আমার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমার নিজ গ্রামের। 

কেন আমার বাড়ীতে গাড়ী নিয়ে আসতে যাত্রী কে নেমে হাটতে হয়, কেন ভ্যান চালক গালি দিতে দিতে রোডে কষ্ট করে যাতায়াত করেন?  

 

কারন আমি প্রগতিশীল একজন মানুষ। আমি “আওয়ামীলীগার” এটা আমার বড় অপরাধ। আমি ষষ্ঠ শ্রনীতে দুই আনার টিকিট কেটে ততকালীন মোল্লাহাট থানা ছাত্র লীগের সদস্য হয়ে ছিলাম বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন সৎ বলিষ্ঠ আওয়ামী নেতা শামসুদ্দিন সিকার নেতৃত্বে। মোল্লা হাট থানা আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দিন সিকা, থানা আওয়ামী সভাপতি কাজী সায়েম, সেক্রেটারি লায়েক উজ্জামান, খালেক সাহেব,

বঙ্গবন্ধুর বন্ধু শওকাত সাহেব, ততকালীন সাংসদ এমএ খয়ের মিয়ার অত্যান্ত স্নেহ ভাজন ছিলাম, এটা আমার অপরাধ! 

 আমি কম পক্ষে দশ বার বঙ্গবন্ধুর সাথে টুঙ্গিপাড়া ও ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে দেখা করার সৌভাগ্যবান ব্যক্তি! সাংসদ ও শ্রীরাম কান্দির (টুঙ্গিপাড়া) চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের সাথে বঙ্গবন্ধুর বাড়ী পোড়ানো পাট গাতীর নূরু মিয়ার মুক্তি বন্ধ করতে আমাকে সাথে নিয়েছেন এসব সন্মানিত ব্যক্তিবর্গ! চরকুলিয়া (মোল্লা হাট) মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প কমান্ডারের চাকুরী ফেরত আনতে গিয়া বোকার মত বলেছিলাম,”৩২ নাম্বার থেকে কেউ খালি হাতে যায় না আমরাও একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের চাকুরী ফেরত না নিয়ে খালি হাতে ফেরত যেতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর বকা খেয়েছিলাম, তিনি বলেছিলেন, “তুমি একটা ফাজিল”! বিদায় করে দিয়েছিলেন, আবার আমার এই বোকামির জন্য গেট থেকে ডেকে এনে কমান্ডার কে খালিশপুর নেভাল হেড না করে বিআরটিসি চেয়ারম্যান করে দিয়েছিলেন। এ-ও বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,” খয়ের ভাই, আপনার ফাজিলের কথা-ই ঠিক, এখান থেকে কেউ খালি হাতে যায় না! “

উল্লেখ্য চর কুলিয়া এই কমান্ডারের নেতৃত্ব ব্রিজের উপর যুদ্ধে প্রায় ৬১ জন পাক সেনা রাজাকার মিলে নিহত হয়েছিলো, ফেলে গিয়েছিলো ৪০ পেটি কার্তুজ, রাইফেল ও গ্রেনেড। আর-ও উল্লেখ করা প্রয়োজন সেই কমান্ডার বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত পদ গ্রহন করেন নাই যা আমরা প্রার্থনা করে মহৎ হৃদয়ের জাতির পিতার কাছ থেকে আনতে পেরেছিলাম! আমার বাড়ীর সামনে দিয়া যাও রোড সংস্কার না হওয়ার জন্য উল্লেখ্য বিষয় গুলো are my disqualification! আরো আছে আমার অপরাধ —

 

আমি ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওমীলীগের 

এজেন্ট ছিলাম। তখন দুই ইউনিয়ন মিলে একটা ভোট কেন্দ্র হতো, ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে ১০ ও ১৪ টাকা কেন্দ্র খরচ দিয়েছিলো দল থেকে যা আমি নেই নি। নিজ পরিবারের পয়সায় কেন্দ্র খরচ চালিয়ে নিয়েছিলাম!

নেতা খালেক সাহেব ও আমি যেয়ে সাংসদের চিঠি নিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শেখ আব্দুল আজিজ কে সভা করতে আমাদের অজপাড়াগাঁ আনতে পেরেছিলাম! মাননীয় মন্ত্রী সি প্লেনে মধুমতী নদীতে নেমে হেটে এসেছিলেন। তিনি সেই আঃ আজিজ যার সাথে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে লন্ডন যেয়ে মুক্ত বাতাসে তার দলের স্নেহ ভাজন নেতা আঃ আজিজের সাথে প্রথম কথা বলেছিলেন ফোনে। 

মোল্লা হাটের প্রত্যান্ত অঞ্চল কাটাদূরা থেকে ডোবা তলা পর্যন্ত শামসুদ্দিন, কাজী ছায়েম, লায়েক, তোতা, আজিজ (আত্মহত্যায় মৃত্যু) , আমি সর্বকনিষ্ঠ সিরাজ ঘুরে ফিরেছি একজন একজন করে কনজার্ভেটিভ লোকদের আওয়ামীলীগার বানাতে। আজ চিতলমারী মোল্লা হাট উপজেলায় এত আওমীলীগারের জন্মের ইতিহাস অনেক লোকের শ্রম যে ইতিহাস বর্তমান অনেক হাইব্রিড জানে না। ছুটেছি নেতাদের সাথে অতুলনগর কলেজের মাটি কাটতে, মাটিভাঙা নেত্রী মনোরমা বসু মাসিমার সভায়।

  এসব কিছুই আমার অপরাধ আমার বাড়ীর রোড না হওয়া এবং বাড়ীর পিছের অংশ জবর দখল কূটকৌশলে! 

আমি উপজেলা L G R D ইঞ্জিনিয়ারনকে উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনে রোড সংস্ককার পাশ করায় পাঠালে তিনি মাপ জোক নিয়ে আসার পর অদৃশ্য কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়! 

 

প্রিয় পাঠক, আমার উইকেট পতন ও সৎ সুস্হ মানসিক স্হানীয় সরকার প্রতিনিধি চাওয়ার পিছনের কারনগুলা 

বর্ননায় আমার নিজস্ব Suffering তুলে ধরে শুধু বুঝাতে চেয়েছি কেমন সততা মানসিকতার লোক স্হানীয় সরকারে প্রয়োজন! বিশেষ করে চিতলমারী মোল্লাহাট টুঙ্গিপাড়া বাগেরহাটের লোকেরা আমার এ ইতিহাসের উল্লেখ্য নেতানেত্রীদের চিনবেন, অনেক জাতীয় নেতার নাম ও উল্লেখ আছে এ প্রবন্ধে! 

 

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন সৎ মানবতা মনুষ্যত্ব গনতন্ত্র সম্পন্ন প্রার্থী নির্বাচিত করুন।

১৯৯৭ সালে দক্ষিণ বাংলার উন্নয়নের রূপকার সাংসদ শেখ হেলাল ভাই আমার গ্রামের বাড়ীতে। যেদিন রোড টা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন!

আরও পড়ুন:

থেকে আরও পড়ুন