বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে দেশটির রাষ্ট্রীয় আয়োজক কমিটি। প্রতিযোগিতায় ৩০ পারা কোরআন গ্রুপে ১১০ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে বশির প্রথম হন। দ্বিতীয় হয়েছেন ইরানের সাঈদ মোহাম্মদ সাদেক এবং তৃতীয় হয়েছেন নাইজেরিয়া আব্দুলাহি গারায়ী।
হাফেজ বশিরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১০টি দেশের মধ্যে ৩০ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ বশির। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আবদুর রশিদ ও বুশরা চৌধুরীর ছেলে হাফেজ বশির আহমদ। তিনি ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র।
মাদরাসার অধ্যক্ষ নেছার আহমাদ-আন-নাছিরী জানান, বশির মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ শেষ করেছে।
তেহরানে ১৯৮২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, ইরাক, সিরিয়া, গিনি, আলজেরিয়া ও লিবিয়া এই ১২ দেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে তেহরান হোসেইনিয়েহ এরশাদে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বর্তমানে এর পরিধি বেড়ে বিভিন্ন দেশের কোরআন তেলাওয়াতকারীদের সপ্তাহব্যাপী অংশগ্রহণে কোরআন তেলাওয়াতের এই আন্তর্জাতিক আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজ বশির। এবার ইরান থেকে পেলেন চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার। এর আগে গত বছর দুবাইতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন টাঙ্গাইলের ছেলে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। ২০১২ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হাফেজ নাজমুস সাকিব। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকজন হাফেজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। দেশ থেকেও হয়েছেন পুরস্কৃত এবং সম্মানিত।