back to top
রবিবার, নভেম্বর ১০, ২০২৪

বৈশ্বিক সংকটে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ

একদিকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট চরমে, অপরদিকে প্রকট আকার ধারণ করেছে অর্থনৈতিক সংকট। বাংলাদেশও এই সংকটের বাইরে নয়। এমতাবস্থায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টিকে থাকাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অবদান অনস্বীকার্য। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে ধরা যায়। তাই এই খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশও থেমে নেই।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আইসিটি বিভাগ ১ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের অনুদান দিয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।

এ ছাড়া মহিলা অধিদপ্তর, যুব অধিদপ্তর এবং অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বেশ সফলতার সাথে কাজ করছেন। এতে উদ্যোক্তার সংখ্যাও বাড়ছে ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি ‘উৎপাদন শিল্প জরিপ’–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক দশকে দেশে ছোট কারখানার সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার ৬৪০টি। ফলে সারা দেশে বর্তমানে ছোট কারখানা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৩০৬টি।

দেশব্যাপী গড়ে ওঠা এসব কারখানায় পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য, বেকারি পণ্য উৎপাদিত হয়। তাছাড়া রাইস মিল তথা চালকলসহ নানা ধরনের ছোট কারখানাও রয়েছে অনেক।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এই সংকট খুবই কঠিন। বিশেষ করে প্রান্তিক থেকে শহরের উদ্যোক্তাদের জন্য। আমরা মনে করি সরকার বৈশ্বিক সংকটে উদ্যোক্তাবান্ধব চিন্তা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। যেহেতু সংকট বিশ্বব্যাপী তাই সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলে মিলে কাজ করলে অন্তত এই সংকটে টিকে থাকা যাবে।

আরও পড়ুন:

থেকে আরও পড়ুন