back to top
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুঠোফোন ব্যবহারকারী ৯৭ শতাংশই গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন

বাংলাদেশের মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ৯৭ শতাংশই গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে মুঠোফোন ব্যবহারে জীবনযাত্রার উন্নতির কথা জানিয়েছেন অধিকাংশ গ্রাহক।

বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনরের ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় এই চিত্র উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশের আয়োজন করে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের মালিক প্রতিষ্ঠান টেলিনরের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এশিয়ার আটটি দেশের আট হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের পাঁচটি প্রভাব নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে সমীক্ষাটি চালানো হয়।

গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ অনুষ্ঠানে সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই সমীক্ষা ডিজিটাল বৈষম্যের বিষয় বুঝতে সাহায্য করেছে এবং এ বৈষম্য কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন বেবি বুমার্স প্রজন্মের (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত যাঁদের জন্ম) ৮৯ শতাংশ। এ ছাড়া জেনারেশন এক্সের (সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশক পর্যন্ত যাঁদের জন্ম) ৭৮ শতাংশ, মিলেনিয়ালসের (আশির পর থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি যাঁদের জন্ম) ৭৪ শতাংশ এবং জেনারেশন জেডের (১৯৯৫ সালের পর থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যাঁদের জন্ম) ৭০ শতাংশ এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, গণিত ও ইংরেজি বিষয়গুলোর মতো সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও সাইবার সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

টেলিনরের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯১ শতাংশ গ্রাহক মোবাইল ব্যবহারে জীবনযাত্রার উন্নতির কথা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা (৫৯ শতাংশ) এগিয়ে আছেন। এ ছাড়া ৬৭ শতাংশ নারী ও ৬২ শতাংশ পুরুষ বলেছেন, শিক্ষার সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন প্রযুক্তির অবদান আছে। মোবাইল সংযোগ পুরুষদের তুলনায় নারীদের কর্মসংস্থান ও উপার্জনের বিকল্প পথ তৈরি করেছে।

দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা অর্জনে সহায়তা করেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি গ্রাহকদের ৯১ শতাংশ দিনের অর্ধেক সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আগামী দুই বছরের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন ৭৩ শতাংশ।

বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ ব্যবহারকারী প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে চিন্তিত। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ বিষয়ে উদ্বেগ বাংলাদেশের চেয়ে কম।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশিদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সেঁজুতি সাহা।

থেকে আরও পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুৎ শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ) শুধু যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক। এর...

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা...

রাজধানীসহ সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের...

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে গোষ্ঠীস্বার্থ নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে যে...