শনিবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যারা সিঙ্গেল আছেন তাদের জন্য আজকের দিনটি উদযাপনের

শুনতে ব্যতিক্রম লাগলেও ১১ নভেম্বর সিঙ্গেল ডে

আপনি নিশ্চয় ভাবছেন, বিশ্বে অনেক রকমের দিবস আছে, তাই বলে সিঙ্গেল ডে ? শুনতে ব্যতিক্রম লাগলেও আজ ১১ নভেম্বর ‘সিঙ্গেল ডে’। যারা সিঙ্গেল আছেন তাদের জন্য আজকের দিনটি উদযাপনের দিন।

এই দিনটির উদ্ভাবক কে জানেন? উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ চীন এই দিনটির উদ্ভাবক। হ্যাঁ, চীনারাই এই সিঙ্গেল ডে উদ্ভাবন করেছে।

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও আধুনিক চীনা সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এই সিঙ্গেল ডে ।

সিঙ্গেল থাকার কারণে অনেকে প্রায়ই মন খারাপ করেন। তারা একে নেতিবাচক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন। আসলেই কি সিঙ্গেল বা একা থাকা খারাপ কিছু? না, মোটেও নয়!

একা থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো নিজের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারা। নিজের ক্যারিয়ারে মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি নিজের কাজে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া যায়।

অনেকে তো প্রায়ই বলেন, অন্য কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। একা থাকলেই তো নিজেকে বেশি ভালোবাসা যায়। নিজের প্রতি অনেক যত্নশীল হওয়া যায়।

একা বা সিঙ্গেল থেকে মন খারাপ না করে বরং এটি উদযাপন করা যেতে পারে। চীনের মানুষ তা ঠিকই করছেন। এই দিবসটি করাই হয়েছে যেন, মানুষ একা থাকার জন্য গর্ব করতে পারেন, একা থাকাকে উদযাপন করতে পারেন।

এখন বিশ্বের অনেক জায়গায় ‘সিঙ্গেলস ডে’ উদযাপিত হয়।

যেভাবে এলো এই সিঙ্গেল ডে

এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, সিঙ্গেল ডে কীভাবে এলো ?  ‘ডেজ অব দ্য ইয়ার’র তথ্য অনুসারে, এটি চীনা ছুটির দিন ও নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভূত।

ধারণা করা হয়, ১৯৯০-এর দশকে একা থাকা মানুষদের জন্য প্রথম ‘সিঙ্গেল ডে’ উদযাপন করা হয়। ১১ নভেম্বর এমন তারিখ যেখানে ৪টি ‘এক’ আছে। তাই মনে করা হয় তারিখটি ৪টি একক ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এজন্যই দিনটিকে ‘সিঙ্গেল ডে’ হিসেবে প্রচলন করেন নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় ৪ শিক্ষার্থী।

ধারণাটি পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চীনের মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এই ছুটির দিনে চীনের অনেক মানুষ আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করেন, শপিং করেন, ঘুরে বেড়ান। শুধু কী তাই, চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কেনাকাটার দিনগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ‘সিঙ্গেল ডে’।

দিবস পালন থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন