চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক মাদ্রাসা শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ৩০ হাজার টাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। তবে এঘটনায় মিরাজ উদ্দিন খান (৬৫) কে প্রধান আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মিরসরাই থানায় নির্যাতিত শিশুর মা বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
মিরসরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ নম্বর ধারায় মামলা নং ১৮ রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত শনিবার মাদ্রসার বিরতির সময় কলম কেনার জন্য পাশ্ববর্তী একটি দোকানে গেলে দোকানদার মিরাজ উদ্দিন শিশুটিকে দোকানের ভেতরের কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক যৌন নীপিড়ন চালায়।
শিশুটির মা জানান, এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন লম্পট মিরাজ উদ্দিন খান। তখনও তাকে সতর্ক করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানায়, পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ হারুন কে জানালে ইউসুফ হারুণ তার অনুসারীদের নিয়ে একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসলে তারা প্রশাসনকে অবহিত করেন। থানা পুলিশ নির্যাতিত পরিবার ও স্থানিয়দের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে নির্যাতিত শিশুর মায়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে মামলা রুজু করে।
মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, শিশু কন্যাটিকে একাধিক বার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ শনিবারের ঘটনায়ও জরিমানার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। যারা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে তারাও অপরাধি। লম্পট মিরাজের পাশাপাশি তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
মিরসরাই উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, ইউপি মেম্বার সহ কয়েকজন সোমবার দুপুরে আমার সাথে দেখা করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছে। এমন কুরুচিপূর্ণ বিকৃত মানসিকতার পক্ষে আমি কোন ব্যাখ্যা শুনতে চাইনা বলে আমি তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি।