স্কুলের নামের সাথে কলেজ লাগিয়ে বাণিজ্য করার প্রয়াসে ব্যাঙের ছাতার মত মিরসরাইয়ে গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গণ শিক্ষা অধিদফতরের লাগে না কোনো অনুমতি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমাজের এক শ্রেণির লোক ভবন ভাড়া নিয়ে খুলে বসে আছেন বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল। আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা থাকলেও হরহামেশাই নামের সাথে ব্যবহার করছে ‘কলেজ’।
তথ্যমতে, নূরানী বিভাগ ছাড়া শুধু মিরসরাই উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আওতাধীন ৪৫টির অধিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর বাইরেও নামে বেনামে রয়েছ আরও কয়েক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ আছে, এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান হয় কোনঠাসা কক্ষে। নেওয়া হয় অধিক হারে মাসিক বেতনও। নেই কোনো খেলাধুলা করার মাঠ। ভবন ভাড়া করেই চলে প্রতিষ্ঠান। নিজেদের গঠনতন্ত্রে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
এদিকে, যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার কারণে শিক্ষারমান কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নিজামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন। তিনি বলেন, মূলত এসব প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ক্ষমতাশীল নেতাদের ছত্রছায়ায় শিক্ষার জন্য নয়, বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বর্তমানে সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। তাই তাদের বিষয়ে উপজেলা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সারেজমিনে দেখা গেছে, ভাড়া বাসায় চলছে অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় সামান্য দুরত্বে ১০টির অধিক এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে মাত্র ২৫০/৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে পাঠদান।
এ বিষয়ে মিরসরাই কিন্ডারগার্টে এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল জানান, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবন রয়েছে। বাকিদেরও আমাদের মিটিং-এ ভবন নির্মাণের বিষয়ে বলা হয়। তবে জায়গা থাকা কিংবা অনুমোদনের সরকারি কোন নির্দেশনা নেই, থাকলে আমরা অবশ্যই তা মেনে চলতাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান বলেন, তাদের নীতিমালা সম্পর্কে বর্তমানে আমি অবগত নয়, জেনে সে বিষয়ে কথা বলবো। তবে যদি অবকাঠামো ঠিক না থাকে সেখানো ভালো কোনকিছু আশা করা যায় না। আমি পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব।