বুধবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাড়ল প্রবাসী আয়, জানুয়ারিতে এল ১৯৬ কোটি ডলার

ডলার–সংকটের কারণে যখন নিত্যপণ্য আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে, ঠিক তখন সুখবর এল প্রবাসী আয়ে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে বাংলাদেশে। প্রবাসী আয়সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানুয়ারি মাসে যে প্রবাসী আয় এসেছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) তার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এর আগের মাস অর্থাৎ গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার–সংকটের কারণে অনেক আমদানি দায়ের পরিশোধ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কেনা হচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী আয় বেড়েছে। ডলারের দামের সীমা তুলে দিলে সংকট অনেকটা কেটে যাবে।

জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারিতে আয় এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে। গত বছরের জুলাই ও আগস্টে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি আয় এসেছিল। তখন ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা দরেও প্রবাসী আয় কিনেছিল।

গত সেপ্টেম্বর থেকে বেসরকারি খাতের রপ্তানি, আমদানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলোর সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের সংগঠন বাফেদা। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে মিলছে ১০৭ টাকা। আর আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।

বর্তমানে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ে দাম ১০২ টাকা। সেই হিসাবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় দাঁড়ায় ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। এ গড়ের সঙ্গে ৫০ পয়সা যোগ করে ১০৫ টাকা হবে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে ১০২ টাকা দামে।

ডলার–সংকট কাটাতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন রিজার্ভ কমে হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন