শনিবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপরই উদ্বেগ জানিয়েছিল জাপান

নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপরই উদ্বেগ জানিয়েছিল জাপান। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।

আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। একই সঙ্গে সব বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও নিজের প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

সোমবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

ইতো নাওকি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জাপান দূতাবাস সহিংসতা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। এটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। কারণ জাপান কোনো দেশের নির্বাচনের পর বিবৃতি দেয় না।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা আরও সতর্ক হবেন বলে আমরা আশা করছি। জাপান বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আমাদের চাওয়া থাকবে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা আরও সামনে এগিয়ে যাবে। আর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। সেজন্য আমাদের চাওয়া থাকবে- নির্বাচনে গণতান্ত্রিক উপায়ে সব দল অংশগ্রহণ করবে।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন