ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাকার বিনিমেয়ে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল করেছেন ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। এর মধ্যে যদি পকেট কমিটি বাতিল না করেন তাহলে আরও বড় আকারে আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন।
রোববার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে এ ঝাড়ুমিছিল করা হয়। পরে ধামরাই প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ছাত্রদলের নেতা জামিল হোসেনকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেওয়া হয়। চুরি মামলার আসামি, কখনো মাঠে দেখা যায়নি- এমন লোককে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে।সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সব সময় ছাত্রত্ব নেই তাদের পদ দিয়ে থাকেন টাকার বিনিময়ে। কিছুদিন পূর্বে বাবলী আক্তার নামে এক ছাত্রলীগের নেত্রীকে পদ পাইয়ে দেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা পকেট কমিটি গঠন করেন কোনো সম্মেলন ছাড়াই।
ধামরাই সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি সাইদুল ইসলাম। তিনি ১০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। আমি তার দাবি মেটাতে পারি নাই। তাই পদ পাইনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আওয়াল রুবেল বলেন, আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। আমি ছাত্রলীগ করি, টাকা কী করে দেব, বললে তিনি বলেন- ‘টাকা না দিলে পদ পাওয়া যাবে না’।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করা না হলেও সঠিকভাবেই গঠন করা হয়েছে। পদ না পেয়ে কিছু নেতাকর্মী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।
ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়েছে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর। পদ না পাওয়া নেতারা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।